Download Now

বর্তমান সময়ে বন্যা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ''কবিতা'' প্রকাশ করেছেন জকিগঞ্জের জাগ্রত কবি ''সৈয়দ আছলাম হোসেন''

 


১৯৯৪ সাল থেকেই শুরু হয় এই জাগ্রত কবির কবিতা লেখার সুচনা। হাটি হাটি পা পা করে আজ পর্যন্ত অনেক মনোমুগ্ধকর কবিতা লিখে কবিতা পিপাসু মানুষদের মনের ভেতর জায়গা করে নিয়েছেন। 


৬ ডিসেম্বর ১৯৭৮ সালে জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্ৰামে, জন্ম গ্রহন করেন তিনি। তিনি পেশায় একজন চাকরিজীবী। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার ''রুহিঙ্গা ক্যাম্পে'' কর্মরত আছেন। তার বর্তমান বয়স ৪০ বছর, আর সেই সুবাদে তিনি বয়সের কথা মাথায় রেখে কিছুদিন আগে ''চল্লিশ লাইনের কবিতা'' নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। 


গ্রন্থটির নাম চল্লিশ লাইনের কবিতা দেওয়ার কারণ হলো উনার বয়স চল্লিশ এবং প্রতিটি কবিতা চল্লিশ লাইনের এবং এই গ্রন্থের মধ্যে মোট কবিতার সংখ্যা ও চল্লিশ।


 তাই এই সবকিছুর উপর ভিত্তি করে তিনি এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এই পর্যন্ত তিনি প্রায় ১০টির মতো গ্রন্থ প্রকাশ করছেন।


তার লেখা বর্তমান পরিস্থিতি প্রেক্ষাপটে সময় উপযোগী সেই কবিতা - 


বন্যা

বর্ষা কালে বাড়ি ঘর

ডুবে যায় বন্যায়,

ভাল লোকে ভাল খুঁজে

মন্দ খুঁজে অন্যায়।


কারো ডুবে ঘরবাড়ি

কারো ডুবে রাস্তা,

কারো মন হারিয়ে ফেলে

বেচে থাকার আস্থা।


বর্ষা কালে বৃষ্টি বাড়ে

কানায কানায় পানি,

নদীর বাধ ভেঙে গেলে

বন্যা আসে জানি।


বন্যা হলে পুকুর থেকে

বেরিয়ে যায় মাছ,

ঘর বাড়ি ধসে পড়ে

উপড়ে পড়ে গাছ।


বন্যা জলে ফসল ডুবে

হয়ে যায় নষ্ট,

কেহ আবার খুশি করে

কেহ করে কষ্ট।


বন্যা হলে সমাজসেবক 

ত্রান দিতে আসেন,

কেহ আবার জ্বরে ভোগে

ঘন ঘন কাশেন।


নদীর পানি ডুকে যখন 

কেহ হয় খুশি,

নদীর জল ডুকার তরে 

হয় দুষাদুষি।


বন্যা হলে কেহ দেখি

নৌকা নিয়ে ঘুরে,

বন্ধুরা সব খুশি করে

যায় অনেক দূরে। 


ছোটবড় সবাই এখন

সাতার জানা দরকার,

সর্বজনে জানতে সাতার

বাধ্য করুক সরকার।


বন্যা জলে ক্ষতি হোক চায়

না দেশের কেহ,

বন্যা জলে ভেসে যাক

চাইনা মানব দেহ।

Post a Comment

0 Comments